ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ১০নং জাবরহাট ইউনিয়নের বোলদিয়ারা গ্রামের আনন্দ উত্তরা মার্গের ৭ একর জমির দাতা স্বর্গীয় হিরালাল রায়ের পুত্র খগেন্দ্র নাথ রায় সহ ১৩ জন আনন্দ মার্গীয় ভক্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ঐ আশ্রমের রেক্টর নীল কমল বিশ্বাস।

জানা যায়,৭একর জমির মধ্যে বহু পুরাতন আম গাছ সহ বিভিন্ন রকম গাছের বাগান ছিল।জমি দাতা হিরালাল রায় মৃত্যুর পরে রেক্টর নীল কমল বিশ্বাস সুযোগে সদ্য ব্যবহার করে আনন্দ উত্তরা আশ্রমের সেই সব গাছ বিক্রি করে কেটে সাবার করেছেন।এবং আশ্রমকে নীজের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে দাবী করেছেন বলে এলাকার ভক্তদের সাথে কথা বলে জানা যায়।

রেক্টর নীল কমল বিশ্বাস আনন্দ উত্তরা মার্গের কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিজের ইচ্ছেই আনন্দ মার্গের বাগান লিজ প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ করেন।এ নিয়ে গত ১৮ ই আগষ্ট দাতার পুত্র খগেন্দ্র নাথ ও আশ্রমের মধ্যে ধ্যান ও পুজা করতে গেলে বাধা প্রদান করে রেক্টর নীল কমল বিশ্বাস।আনন্দ উত্তরার বাগানের লিজ দেওয়া আয় ব্যায়ের হিসাব জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন ও ভক্তদেরকে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে আশ্রমের ভক্তদের কে মারপিট করে নীল কমল বিশ্বাস এবং রেক্টরের আঘাতে সে সময় আহত হয় সংকর রায়।

আহত সংকর রায় সাথে সাথে ঐ দিনই পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।এদিকে নীল কমল বিশ্বাস জানতে পেয়ে দাতাপুত্র খগেন্দ্র নাথ ও আশ্রমের কমিটি কে ঠেকাতে পরদিন নীল কমল বিশ্বাস ও হাসপাতালে ভর্তি হন।এ বিষয়ে সরেজমিনে জানা যায়,রেক্টর নীল কমল বিশ্বাসের প্রতি আনন্দ উত্তরা মার্গের সদস্যদের কোন আস্থা নেই।আর এই আশ্রমে কেউ প্রার্থনা করতে এলে তাকে সেখানে,ধ্যান,পুজা করতে নিষেধ করেন রেক্টর এবং উপাসনালয় মন্দির ঘর তালা বদ্ধ করে রাখেন সব সময় এছাড়া ও নানা অনিয়ম সহ টাকা আত্মসাতের নজির আছে বলে এলাকার মার্গীরা জানান।

এ বিষয়ে ঐ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নির্মল চন্দ্র রায় মেম্বারের সাথে কথা হলে সাংবাদিক কে জানান রেক্টর নীল কমল বিশ্বাস খারাপ প্রকৃতির লোক মিথ্যা বাদী,এবং দাতা পুত্র খগেন্দ্র নাথ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিক বলেন নীল কমল বিশ্বাসের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে দাতাপুত্র খগেন্দ্র নাথের জিহবা কেটে নিবে বলে রেক্টর বলেন।এ বিষয়ে নীল কমল বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মামলার অভিযোগ থানায় দেওয়া হয়েছে।